বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেট নগরে এক হিজড়ার শিষ্য তুষার মিয়া(২০) নামের যুবককে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার ২৫শে সেপ্টেম্বর ভোরে নগরের সুবহানীঘাট সবজিবাজার সংলগ্ন বনফুল অ্যান্ড কোম্পানির পাশে খালি জায়গা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তুষার মিয়া ময়মনসিংহ জেলার আবুল হাশেমের ছেলে ও নগরের খাসদবির সাজু মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন।
সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি মডেল থানার সুবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) জগৎজ্যোতি বলেন- মরদেহের গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলী মাহমুদ বলেন- নিহত তুষার নারীর ছদ্মবরণে হিজড়ার রূপ ধরে থাকতো। সে হিজড়াদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। ভোররাতে ওখানে সেসহ আরও ৩/৪ জন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে চাপ দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। তাছাড়া ধস্তাধস্তিরও আলামত মিলেছে।
নিহতের বড় ভাই হিমেল আহমদ রাফি বলেন- তার ভাই হিজড়া নয়। কিন্তু তিনি হিজড়াদের সঙ্গে চলতো। রাতে তার ভাইকে কয়েকজন হিজড়া বের করে আনে। এরপর কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে।
হিজড়াদের সাথে আলপ করে জানা যায়- তুষার মিয়া নামের ওই ছেলে পাপ্পু হিজড়ার শিষ্য হিসাবে হিজড়াগিরী করে আসছে। পাপ্পু তাকে হিজড়া বানিয়েছে। সে পুরুষ কি না তা সঠিক বলতে পারবো না। তবে পাপ্পুর সাথে সে চলাফেরা করে এবং পাপ্পুকে গুরুমা বলে ডাকে। পাপ্পু হিজড়া একজন ভয়ংকর অপরাধী। সে সর্বদা মাদক সেবন করে মাতাল হয়ে তাকে।